ঢামেকে চিকিৎসকদের সেবায় মুগ্ধ রোগীরা
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) সেনাবাহিনী বিজিবি নিরাপত্তার চিকিৎসকরা স্বাচ্ছন্দ্যে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন নার্সরা, ওয়ার্ডবয়সহ অন্যান্য কর্মচারীরাও আছেন।
রোগীরা বলছেন, চিকিৎসকদের আন্তরিকতায় তারা মুগ্ধ।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে রোগীদের চিকিৎসা দিতে দেখা যায় চিকিৎসকদের। এছাড়া চিকিৎসকদের পাশাপাশি রোগীদের সেবা দিতে দেখা যায় উপস্থিত থাকা পর্যাপ্ত নার্সদের। ওয়ার্ডগুলোতে সরকারি কর্মচারীদেরও কাজ করতে দেখা যায়।
পুরাতন ভবনে লেবার ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিতে এসেছেন অন্তঃসত্ত্বা কোহিনুর বেগম। রোগীর সঙ্গে উপস্থিত থাকা তার খালা পারুল বেগম জানান, চিকিৎসকরা খুব ভালোভাবে দেখেছেন রোগীকে। রোগীর চিকিৎসা চলছে এখন।
হাসপাতালে নিউরোসার্জারি ১০০ নম্বর ওয়ার্ডের ব্লু ইউনিটে চিকিৎসারত হাবিবুন নবী বললে, মেডিকেল হাসপাতালে বর্তমান চিকিৎসকরা অনেক ভালো ব্যবহার করছেন, আমি মুগ্ধ। সব সময় রোগীদের খোঁজখবর নিচ্ছেন তারা।
তিনি আরও বলেন, আমার মেরুদণ্ডে টিউমার দেখা দিয়েছিল। বেশ কয়েকবার এই হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করিয়েছি এবং সেখানে ইনফেকশন দেখা দিয়েছে। আবারও ১৫ থেকে ১৬ দিন হয়েছে ভর্তি হয়েছি। তবে চিকিৎসকরা খুব সুন্দরভাবেই চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসকদের প্রতি আমি সন্তুষ্ট।
এদিকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায় ভেতরে বিভিন্ন জায়গায় বিজিবি সদস্যরা অবস্থান করছেন, পাশাপাশি আছেন সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা।
এছাড়া হাসপাতালে আনসার সদস্যদের সিভিল ড্রেসে ডিউটি করতে দেখা যায়। জরুরি বিভাগে দেখা যায় রোগীদের অনেক চাপ। নিয়ম অনুযায়ী, চিকিৎসকদের নির্দেশক্রমে রোগীদের বিভিন্ন শারীরিক পরীক্ষা করতে দেখা যায়।
ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, কয়েকদিন আগে হাসপাতালে চিকিৎসকদের ওপর হামলার কারণে চিকিৎসকরা যৌক্তিক দাবি উত্থাপন করলে সরকার সেগুলো মেনে নেয়। চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় সেনা সদস্য, বিজিবি পুলিশ হাসপাতালে অবস্থান করছে। পুরোদমে চিকিৎসকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে। এছাড়া আছেন নার্স ও হাসপাতালের স্টাফরা।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতাল হচ্ছে, রোগীদের চিকিৎসা ও সেবার প্রতিষ্ঠান। এখানে যারাই কাজ করে সবাই রোগীদের কথা চিন্তা করেই কাজ করেন। ভবিষ্যতে আরো ভালো কীভাবে করা যায়, সে অনুযায়ী আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বর্তমান সরকার আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন।