Space for ads

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত আরও এক জনের মরদেহ শনাক্ত

 প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন   |   মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত আরও এক জনের মরদেহ শনাক্ত
Space for ads
মরদেহের আঙ্গুলে আংটি দেখে নিহত হওয়ার প্রায় ১ মাস পর পরিচয় শনাক্ত হল সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে গিয়ে প্রাণ হারানো তারেকের (১৮)।  

মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর)  বিকেলে তার পরিচয় শনাক্ত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গ থেকে মৃতদেহটি নিয়ে যান স্বজনরা।
আংটিসহ হাত-পায়ের নখ, গালে ছোট গর্ত ও মাথার চুল দেখে তার পরিচয় নিশ্চিত করা হয়।

তারেকের বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার ওমরপুর গ্রামে। বাবার নাম মো. রিয়াজ। সে যাত্রাবাড়ী বিবির বাগিচা এক নম্বর গেট এলাকার একটি মেসে থাকতো। সেখানে একটি দর্জি দোকানের কর্মচারী ছিল তারেক।  

তারেকের চাচাতো ভাই মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, পরিবার গ্রামে থাকলেও সে একা একটি মেসে থাকতো তারেক। গত ৫ আগস্ট সকাল ১১টার দিকে দোকানে নাস্তা করে রাস্তায় বের হয়েছিল তারেক। বেলা ১২টা ৩৭ মিনিটের পর থেকে তার ফোন বন্ধ পাচ্ছিলো সহকর্মীরা। তবে তারাও বিষয়টি পরিবারকে জানায়নি। তাছাড়া তার সঙ্গে পরিবারেরও যোগাযোগ খুব কম হতো। ১৫ আগস্টের পর পরিবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে না পেলে তাদের মনে সন্দেহ জাগে। পরবর্তীতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায়, হাসপাতালে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। ঢাকা মেডিকেলের বিভিন্ন ওয়ার্ডেও খোঁজা হয় তাকে। তবে কোথাও তার সন্ধান মিলেনি। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে এসে সব বেওয়ারিশ লাশের ছবি তুলে স্বজনদেরকে পাঠানো হয়। সেসব ছবির ভিতর থেকে একটি লাশ তারেকের বলে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করেন তারা। গত রোববার গ্রাম থেকে তারেকের বাবা মো. রিয়াজ ঢাকায় আসেন। রোববারেই তাকে ঢাকা মেডিকেলের মর্গে সরাসরি লাশ দেখানো হয় এবং তিনিও তার ছেলে শনাক্ত করেন।

গিয়াস বলেন, রোববার লাশ শনাক্ত করার পর পুলিশের কাছে যখন আমরা লাশ বুঝে পাওয়ার দাবি করি, তখন পুলিশ লাশের ডিএনএ টেস্ট করার কথা বলে এবং এটি করতে ৫-৭ মাস সময় লাগবে বলে জানায়। এরপরেই মূলত লাশ বুঝিয়ে দেয়ার কথা বলে। উপায়ন্ত না পেয়ে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে মঙ্গলবার তাদের সহযোগিতায় লাশ বুঝে পাই। পরবর্তীতে দাফনের জন্য মরদেহটি গ্রামের বাড়ির নিয়ে যাওয়া হয়।

স্বজনা জানান, পরবর্তীতে তারা জানতে পারেন, যাত্রাবাড়ী এলাকায় ৫ আগস্ট দুপুরে গুলিবিদ্ধ হয়েছিল সে। তখন আন্দোলনরতরাই তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে ওই দিনই মারা যায় তারেক। তার বুকের ডানপাশে একটি গুলি চিহ্ন রয়েছে। 
BBS cable ad