শেবাচিম হাসপাতালে ১৪ অ্যাম্বুলেন্সের সচল সাতটিতে চালক সংকট
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলে (শেবাচিম) ১৪টি সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের সাতটি নষ্ট পড়ে আছে। বাকি সাতটি সচল থাকলেও চালক না থাকায় গ্যারেজে পড়ে থাকে বেশিরভাগ সময়।
ফলে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। আর এই সুযোগে বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সগুলো।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক যুগের বেশি সময় ধরে ছিল অ্যাম্বুলেন্স সংকট। আর এখন অ্যাম্বুলেন্স সংকট নিরসন হলেও দেখা দিয়েছে চালক সংকট। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হাসপাতাল কেন্দ্রীক অ্যাম্বুলেন্স ব্যবসা এতটাই জমজমাট যে কয়েক বছরের মধ্যে প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্সের সংখ্যা শতকে গিয়ে ঠেকেছে। আর নানান কারণে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স চলাচলে লোকসানের কথা শোনা গেলেও বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স পরিচালনায় এতটাই লাভ যে দিন দিন এই ব্যবসায় ঝুকছেন নতুন নতুন ব্যবসায়ী। অথচ বেসরকারি কোম্পানির থেকে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে যেমন ভাড়াও কম, তেমনি সুযোগ-সুবিধাও বেশি রয়েছে।
রোগীর স্বজনরা জানায়, সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে কম টাকায় রোগী পরিবহনের জন্য তাদের প্রথম পছন্দ থাকলেও নানা অজুহাতে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স পান না তারা। ফলে বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়ায় নিতে হয় প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স। তবে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার বিষয়টি মানতে নারাজ প্রাইভেট অ্যাম্বুলেন্স চালকরা।
যদিও সচেতন মহল বলছে, একটি অদৃশ্য সিন্ডিকেটের কারণে রাস্তায় নেমে রোগীদের সেবা দিতে পারছে না সরকারি অ্যাম্বুলেন্সগুলো।
তবে এ হাসপাতালের সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চালক বিপ্লব জানান, সরকারি অ্যাম্বুলেন্স আছে মোট ১৪টি। এরমধ্যে ৭টি অ্যাম্বুলেন্স বিকল হয়ে পড়ে আছে। অ্যাম্বুলেন্সগুলো চালাতে ৮ জন চালক থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র ৩ জন। বাকি ৫টি পদশূন্য। ফলে বাকি যে ৭টি সচল অ্যাম্বুলেন্স আছে সেগুলো যাতে বিকল হয়ে না যায় তাই কল রোটেশন করে তিনজন চালক অ্যাম্বুলেন্সগুলো সচল রাখছে। ফলে চাইলেও রোগীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়া যাচ্ছে না।
যদিও হাসপাতাল পরিচালক সাইফুল ইসলাম রোগীদের সেবা নিশ্চিতে দ্রুত সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চালক নিয়োগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তবে অ্যাম্বুলেন্স চালককে দিয়ে তার গাড়ি চালনায় এটি নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে অনেকের।