আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত না করা প্রথম ব্যর্থতা: সমন্বয়ক হাসনাত
গণঅভ্যুত্থানে আহতদের আন্তর্জাতিকমানের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে না পারা এবং আহত-নিহতদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করতে না পারাকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম ব্যর্থতা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে কয়েকটি প্রতিনিধিদল রাজধানীতে ছয়টি হাসপাতাল পরিদর্শনে করে। গত সোমবার সপ্তাহব্যাপী ‘রেজিস্ট্যন্স উইক’ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সে কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার ‘স্ট্যান্ড উইথ দ্য ইঞ্জুরড’ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আমরা যে খবর পেয়েছি, এতদিন পর্যন্ত আহতদের আন্তর্জাতিকমানের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে না পারা এবং আহত-নিহতের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করতে না পারা এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম ব্যর্থতা হিসেবে চিহ্নিত করতে চাই। সরকারের উচিত ছিলো- শুরুতেই যারা আহত হয়েছেন এবং যারা শহিদ হয়েছেন, তাদের জন্য তাৎক্ষণিক সমাধান নিশ্চিত করা। আজ পর্যন্ত আমরা আহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা পাইনি। আমরা শিক্ষার্থীরা আহতদের খোঁজ নিচ্ছি। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখছি না। সেজন্য আমরা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতি নিন্দা জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা বড় বড় গল্প শুনতে চাই না। আমরা দেখতে চাই, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কী পদক্ষেপ নেয়। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
এছাড়া সমন্বয়ক পরিচয়ে কেউ বিশেষ সুবিধা নিলে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করার কথা বলেন তিনি।