মানিকগঞ্জে সাধারণ রোগীদের সঙ্গেই চলছে ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসা
মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা কোনো ওয়ার্ড চালু না করেই সাধারণ রোগীদের সঙ্গে ডেঙ্গু আক্রান্তদের রাখা হয়েছে। এখান থেকে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন অন্য রোগীরা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ১১ জুলাই প্রথম ডেঙ্গু আক্রান্ত এক রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এ পর্যন্ত মোট ৬৫ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। বর্তমানে সেখানে চারজন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। হাসপাতালের পুরাতন ভবনের নিচতলার মেডিসিন (পুরুষ) ওয়ার্ডে তাদের রাখা হয়েছে।
রোববার হাসপাতাল ঘুরে দেখা যায়, সাধারণ রোগীদের সঙ্গে ডেঙ্গু আক্রান্তদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, একসঙ্গে রাখায় অন্য রোগীদেরও মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। দ্রুত ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড চালুর দাবি জানান তারা।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার দিঘি ইউনিয়নের রৌহাদহ গ্রামের শফিকুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে টেস্ট করলে তার ডেঙ্গু পজিটিভ আসে। তিনি এখন মেডিসিন বিভাগে সাধারণ রোগীদের সঙ্গে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাকে দেখতে আসা স্বজনেরা জানান, সাধারণ রোগীদের সঙ্গে ডেঙ্গু আক্রান্তদের রাখাটা নিরাপদ মনে হয় না। এখানে টয়লেটগুলোতে মশার উপদ্রব। পরিস্থিতি এমন যে, এখান থেকেই ডেঙ্গু ছড়াতে পারে।
আরিফ নামে এক রোগীর স্বজন জানান, মশারি দিয়ে রোগীদের রাখা হয়েছে। ডেঙ্গু যেন ছড়িয়ে না পড়ে, সেটা নিয়ে তৎপরতা নেই বললেই চলে। চারজনের মধ্যে একজন রোগীর মশারি তার মা টানিয়ে রাখেন। আর বাকি তিনজন অন্যান্য রোগীর মতোই চলছেন।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুজিত সরকার জানান, এখন পর্যন্ত যারা ভর্তি রয়েছেন, তাদের যথাসাধ্য চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আগের বছর নতুন ভবনের সাততলায় আলাদা ডেঙ্গু ওয়ার্ড খোলা হয়েছিল। কিন্তু এ বছর সেখানে আইসিইউ ইউনিটের কাজ চলায় ডেঙ্গু ওয়ার্ড চালু করা সম্ভব হয়নি। আমরা আলাদা ডেঙ্গু ওয়ার্ড করার চেষ্টা করছি। দ্রুতই সেটা করা হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, মানিকগঞ্জ জেলায় গত বছর ১৩ হাজার ৩৩০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এরমধ্যে ১৫ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।