শিশুর জ্বর কমাতে যখন সাপোজিটরি দেবেন
জ্বর হলো ক্ষতিকর জীবাণুর মোকাবিলায় দেহের গড়ে তোলা প্রাকৃতিক প্রতিরোধব্যবস্থা, যা দেহে প্রবেশকৃত রোগ-জীবাণুর বংশবৃদ্ধিতে বাধা দেয়। জ্বর কমাতে শিশুকে অনেক সময় সাপোজিটরি দেওয়ার প্রয়োজন হয়।
তবে এটি ব্যবহারেও সতর্ক থাকতে হবে।
শিশুর জ্বর যদি ১০২.২ ডিগ্রি ফারেনহাইটের নিচে থাকে এবং শিশু বেশি অসুস্থ না হয়, তাহলে রুটিন মাফিক প্যারাসিটামল সেবন করানোর প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু বিষম জ্বর লাঘবে প্যারাসিটামল দিতে হয়।
প্যারাসিটামল সিরাপ
* শিশু বয়সে প্যারাসিটামল সিরাপ প্রতি ৪-৬ ঘণ্টা অন্তর সেবন করানো যায়। কিন্তু দৈনিক পরিমাণ যেন ৬০ মিলি গ্রামের বেশি না হয়।
* প্যারাসিটামল খাওয়ানোর ৩০ মিনিট পর ওষুধের কার্যকারিতা শুরু হয় এবং ১-২ ঘণ্টা পরে শিশুর জ্বর প্রায় ২ থেকে ৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত নামে। বেশি মাত্রার জ্বরে (যেমন ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি থাকলে) বেশি নামে, অল্প জ্বরের বেলায় তা তত বেশি কমে না।
প্যারাসিটামল সাপোজিটরি
* প্যারাসিটামল পায়ুপথে প্রয়োগ করা যায়। সাপোজিটরিকে অভিভাবকরা ‘ডোজ’ নামে অভিহিত করে থাকেন।
পায়ুপথে প্যারাসিটামলের কার্যকারিতার শুরু হয় ওষুধ প্রয়োগের প্রায় ৬০ মিনিট পর।
* সিরাপ ব্যবহারের সমান ফল পেতে পায়ুপথে বেশি মাত্রার প্যারাসিটামল দিতে হয়। এই পথে ওষুধের সফল শোষণ যেমন অনিশ্চিত, তেমনি পায়ুপথে অধিকবার ওষুধ প্রয়োগের কারণে মলদ্বারের কার্যক্রমে বিপত্তি হতে পারে। তাছাড়া কিছু অসুখে (যেমন-টাইফয়েড জ্বরে) এভাবে দ্রুত তাপমাত্রা পতন অতি শীতলতা (হাইপোথারমিয়া) ঝুঁকি তৈরি করে, যা শিশুর জন্য বিপজ্জনক।
অভিভাবকের করণীয়—
* শিশুকে আলো-বাতাসপূর্ণ ঘরে রাখা, যথাসম্ভব কম কাপড়-চোপড় পরিধান করানো, শিশুর শরীর আলতোভাবে মাসাজ করা। বেশি পরিমাণে পানি পান ও তরল খাবার বারবার খাওয়ানো।
* শিশুর অতিরিক্ত জ্বর কমাতে কুসুম গরম পানিতে তোয়ালে চুবিয়ে প্রথমে পা, বুক, পিঠ ও কপাল, এভাবে পর্যায়ক্রমে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে শরীর স্পঞ্জ করা। তবে প্যারাসিটামল সেবন করানোর ৩০ মিনিট পর স্পঞ্জ করলে জ্বর কমাতে তা অধিক কার্যকর হয়।
* শিশু বয়সে যেকোনো ওষুধ মুখে খাওয়ানোর মাধ্যমে প্রয়োগের চেষ্টা করা উচিত। এক ধরনের ব্র্যান্ড যদি শিশু গ্রহণ করতে না পারে, তবে একই জেনেরিক নামের অন্য কম্পানির অন্য স্বাদের ওষুধ দিয়ে চেষ্টা চালানো যায়।
* যদি কোনোভাবেই মুখে খাওয়ানো (অজ্ঞান থাকলে বা বারবার বমি করলে) সম্ভব না হয় তখনই কেবল পায়ুপথে সাপোজিটরি প্রয়োগের প্রয়োজন। সাপোজিটরিতে জ্বর দ্রুত নেমে আসে এমন ভুল ধারণা থেকে এর অত্যধিক ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়।
পরামর্শ দিয়েছেন : অধ্যাপক ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী,
সাবেক বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। .
তবে এটি ব্যবহারেও সতর্ক থাকতে হবে।
শিশুর জ্বর যদি ১০২.২ ডিগ্রি ফারেনহাইটের নিচে থাকে এবং শিশু বেশি অসুস্থ না হয়, তাহলে রুটিন মাফিক প্যারাসিটামল সেবন করানোর প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু বিষম জ্বর লাঘবে প্যারাসিটামল দিতে হয়।
প্যারাসিটামল সিরাপ
* শিশু বয়সে প্যারাসিটামল সিরাপ প্রতি ৪-৬ ঘণ্টা অন্তর সেবন করানো যায়। কিন্তু দৈনিক পরিমাণ যেন ৬০ মিলি গ্রামের বেশি না হয়।
* প্যারাসিটামল খাওয়ানোর ৩০ মিনিট পর ওষুধের কার্যকারিতা শুরু হয় এবং ১-২ ঘণ্টা পরে শিশুর জ্বর প্রায় ২ থেকে ৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত নামে। বেশি মাত্রার জ্বরে (যেমন ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি থাকলে) বেশি নামে, অল্প জ্বরের বেলায় তা তত বেশি কমে না।
প্যারাসিটামল সাপোজিটরি
* প্যারাসিটামল পায়ুপথে প্রয়োগ করা যায়। সাপোজিটরিকে অভিভাবকরা ‘ডোজ’ নামে অভিহিত করে থাকেন।
পায়ুপথে প্যারাসিটামলের কার্যকারিতার শুরু হয় ওষুধ প্রয়োগের প্রায় ৬০ মিনিট পর।
* সিরাপ ব্যবহারের সমান ফল পেতে পায়ুপথে বেশি মাত্রার প্যারাসিটামল দিতে হয়। এই পথে ওষুধের সফল শোষণ যেমন অনিশ্চিত, তেমনি পায়ুপথে অধিকবার ওষুধ প্রয়োগের কারণে মলদ্বারের কার্যক্রমে বিপত্তি হতে পারে। তাছাড়া কিছু অসুখে (যেমন-টাইফয়েড জ্বরে) এভাবে দ্রুত তাপমাত্রা পতন অতি শীতলতা (হাইপোথারমিয়া) ঝুঁকি তৈরি করে, যা শিশুর জন্য বিপজ্জনক।
অভিভাবকের করণীয়—
* শিশুকে আলো-বাতাসপূর্ণ ঘরে রাখা, যথাসম্ভব কম কাপড়-চোপড় পরিধান করানো, শিশুর শরীর আলতোভাবে মাসাজ করা। বেশি পরিমাণে পানি পান ও তরল খাবার বারবার খাওয়ানো।
* শিশুর অতিরিক্ত জ্বর কমাতে কুসুম গরম পানিতে তোয়ালে চুবিয়ে প্রথমে পা, বুক, পিঠ ও কপাল, এভাবে পর্যায়ক্রমে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে শরীর স্পঞ্জ করা। তবে প্যারাসিটামল সেবন করানোর ৩০ মিনিট পর স্পঞ্জ করলে জ্বর কমাতে তা অধিক কার্যকর হয়।
* শিশু বয়সে যেকোনো ওষুধ মুখে খাওয়ানোর মাধ্যমে প্রয়োগের চেষ্টা করা উচিত। এক ধরনের ব্র্যান্ড যদি শিশু গ্রহণ করতে না পারে, তবে একই জেনেরিক নামের অন্য কম্পানির অন্য স্বাদের ওষুধ দিয়ে চেষ্টা চালানো যায়।
* যদি কোনোভাবেই মুখে খাওয়ানো (অজ্ঞান থাকলে বা বারবার বমি করলে) সম্ভব না হয় তখনই কেবল পায়ুপথে সাপোজিটরি প্রয়োগের প্রয়োজন। সাপোজিটরিতে জ্বর দ্রুত নেমে আসে এমন ভুল ধারণা থেকে এর অত্যধিক ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়।
পরামর্শ দিয়েছেন : অধ্যাপক ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী,
সাবেক বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। .