Space for ads

যেভাবে বুঝবেন আপনি পারকিনসন্স রোগে আক্রান্ত কিনা

 প্রকাশ: ২০ অগাস্ট ২০২৪, ০২:৩৪ অপরাহ্ন   |   রোগ

যেভাবে বুঝবেন আপনি পারকিনসন্স রোগে আক্রান্ত কিনা
Space for ads
পারকিনসন্স হচ্ছে এমন এক শারীরিক অবস্থা যেখানে মস্তিষ্ক আক্রান্ত হয়। এ ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের একটি অংশ ঠিকমতো কাজ করা বন্ধ করে দেয়। ফলে বহু স্নায়ুকোষের মৃত্যু হয়। মানুষের মস্তিষ্কে আছে অগণিত স্নায়ুকোষ। এসব থেকে তৈরি হয় রাসায়নিক উপাদান ডোপামিন। কিন্তু এই ডোপামিনের উৎপাদন যখন বন্ধ হয়ে যায়, তখন স্নায়ুকোষ ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। তখন একজন মানুষ পারকিনসন্স রোগে আক্রান্ত হয়।

পারকিনসন্স রোগের পর্যায় সমূহ:

পর্যায় এক

একেবারে প্রাথমিক অবস্থায়, যাকে মৃদু পর্যায় বলা হয়। এই অবস্থায় শরীরে একপাশে হালকা অবশ অনুভূতি ছাড়া সেভাবে লক্ষণ প্রকাশ পায় না।

পর্যায় দুই

মুখের অভিব্যক্তি কিছুটা পরিবর্তন হয় অর্থাৎ হাসি-কান্নার মতো অভিব্যক্তি কমে যায়। শরীরের একপাশে হাত-পায়ে কাঁপুনি প্রকাশ পায়।

পর্যায় তিন

এই পর্যায় রোগীর উপসর্গগুলো দ্রুত দৃশ্যমান হয়। রোগীর শরীর ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। ফলে চলাফেরা করতে রোগীর বার বার পড়ে যান। অবশ্য এই রোগী কোনো সাহায্য ছাড়া নিজে নিজের কর্মকাণ্ড চালাতে পারেন।

    পারকিনসন্স রোগে আক্রান্তের কারণ কী? যেসব লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেনপারকিনসন্স রোগে আক্রান্তের কারণ কী? যেসব লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন

পর্যায় চার

চতুর্থ পর্যায়ে এসে রোগী কোন সাহায্য ছাড়া দাঁড়াতে পারেন না। রোগীর বিভিন্ন পেশি শক্ত হয়ে যায় এবং নড়াচড়া করতে সমস্যা হয়। ফলে রোগীকে একা রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।

পর্যায় পাঁচ

রোগী শেষ পর্যায়ে চলে এসেছেন বলা হয়। এই পর্যায়ে রোগী নিজে কিছুই করতে পারেন না। তখন রোগীকে হুইলচেয়ারে রাখতে হয় অথবা তিনি একেবারে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন।

এছাড়া চিকিৎসকরা বলছেন, পারকিনসন্স রোগে ভুগলে একপর্যায়ে গিয়ে কিছুটা স্মৃতিভ্রম হতে পারে। তবে স্মৃতিভ্রম অর্থাৎ ভুলে যাওয়া বা ডিমেনশিয়া সম্পূর্ণ আলাদা রোগ।

পারকিনসন্স রোগের ঝুঁকির কারণ সমূহ

বয়স –মাঝ বয়সের পরে এই রোগ শুরু হয়, সাধারণত ৫০ বা তার বেশি বয়সের কাছাকাছি।

বংশগতি – পরিবারের কারোর থাকলে সম্ভাবনা বেশি থাকে।

বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শে – আগাছানাশক এবং কীটনাশকের দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহার।.
BBS cable ad