৬ লাখের বেশি শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াবে ডিএনসিসি
জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস কর্মসূচির আওতায় আগামী রবিবার সারাদেশে দুই কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এরই অংশ হিসেবে ছয় লাখের বেশি শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।
বৃহস্পতিবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) নগর ভবনে ওরিয়েন্টেশন কর্মশালার আয়োজন করা হয়। ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান এসব বিষয়ে জানান।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১০টি অঞ্চলের আওতাধীন ৫৪টি ওয়ার্ডে আগামী রবিবার একযোগে ক্যাপসুল খাওয়ানোর কর্মসূচি চলবে বলে কর্মশালায় জানানো হয়।
জোবায়দুর রহমান বলেন, জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী সকল শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল বিনামূল্যে খাওয়ানো হবে। এছাড়া শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণ মতো ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর বার্তা প্রচার করা হবে।
ক্যাম্পেইন সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে এই কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, শিশুর সুস্থভাবে বেঁচে থাকা, স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও দৃষ্টি শক্তির জন্য ভিটামিন-এ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন-এ চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টি শক্তি ও শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখে এবং বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে থাকে। ভিটামিন-এ এর অভাবে রাতকানা সহ চোখের অন্যান্য রোগ, শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া, রক্ত শূন্যতা এমনকি শিশুর মৃত্যুও হতে পারে।
তিনি জানান, এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১০টি অঞ্চলের আওতাধীন ৫৪টি ওয়ার্ডে আগামী ১৮ জুন জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হবে। ক্যাম্পেইন সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে এ কার্যক্রমের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সের শিশুর ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৭ হাজার ৯ জন এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সের শিশুর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৯৫ হাজার ৭৯৭ জন।
সেখানে জানানো হয়, ক্যাম্পেইন সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে এই কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী সকল শিশুদের ১টি নীল রঙের ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে ১টি লাল রঙের ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল বিনামূল্যে খাওয়ানো হবে। এছাড়া শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণমতো ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর বার্তা প্রচার করা হবে।
ওরিয়েন্টেশন ও পরিকল্পনা সভায় আয়োজকরা বলেন, শিশুর সুস্থভাবে বেঁচে থাকা, স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও দৃষ্টি শক্তির জন্য ভিটামিন 'এ' গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন এ' চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টি শক্তি ও শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখে এবং বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে থাকে। ভিটামিন 'এ' এর অভাবে রাতকানাসহ চোখের অন্যান্য রোগ, শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া, রক্তশূন্যতা এমনকি শিশুর মৃত্যুও হতে পারে।
সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য নীতিমালা অনুযায়ী, বছরে দুইবার ভিটামিন 'এ' এর অভাব পূরণে সম্পূরক খাদ্য হিসেবে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।