Space for ads

ইউনাইটেড হাসপাতাল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

 প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪২ অপরাহ্ন   |   স্পেশালাইজড হাসপাতাল

ইউনাইটেড হাসপাতাল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
Space for ads

জাল-জালিয়াতি, প্রতারণা ও ব্যবসায়িক লেনদেনে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে ইউনাইটেড হাসপাতালের চেয়ারম্যান হাসান মাহমুদ রাজাসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) শুনানি শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ আহমেদ। গ্রেফতার সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ইউনাইটেড হাসপাতালের এফসিএ মোস্তাক আহমেদ, সাব্বির আহমেদ ও কোম্পানি সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান।

এর আগে, গত ১৭ নভেম্বর মামলাটির তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পেয়ে পিবিআই আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। পরে বাদীপক্ষের আইনজীবী খন্দকার গোলাম কিবরিয়া জোবায়ের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী পারভেজ আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রতিবেদন আমলে নিয়ে এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ফরিদুর রহমান খান দীর্ঘ ১৫ বছর ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। করোনাকালীন ২০২০ সালের মে মাসে হাসান মাহমুদ রাজারসহ মামলার অন্য তিন আসামি ফরিদুর রহমানকে জোরপূর্বক পদত্যাগে বাধ্য করেন। এরপর প্রতিষ্ঠানটিতে ফরিদুর রহমানের থাকা ১ লাখ ২০ হাজার ১৬৫টি শেয়ার এজাহারনামীয় আসামিরা দখল করেন। সেসময় প্রতিটি শেয়ারের জন্য ১ হাজার টাকা হিসেবে মোট ১২ কোটি ১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু আসামিরা কোনো টাকা দেননি। এরপর থেকে ফরিদুর রহমান খানের শেয়ারের পাওনার বিপরীতে লভ্যাংশ না দিয়ে প্রায় ১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়।

এছাড়া ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ফরিদুর রহমান খানকে অবহিত না করে ইউনাইটেড হাসপাতালের পরিচালক পদ থেকে বাদ দেওয়া হয়। এসব ঘটনায় গত ২৮ আগস্ট ইউনাইটেড হাসপাতালের সাবেক ম্যানেজিং ডিরেক্টর ফরিদুর রহমান খান ইউনাইটেড গ্রুপের চেয়ারম্যান হাসান রাজাসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

BBS cable ad