Space for ads

চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্তদের ৮৮ ভাগ ডেন-২ ধরনের

 প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪৬ পূর্বাহ্ন   |   মহামারি

চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্তদের ৮৮ ভাগ ডেন-২ ধরনের
Space for ads
চট্টগ্রামে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত ৮৮ ভাগ রোগীর মধ্যেই পাওয়া গেছে ডেন-২ ধরনের ডেঙ্গু ভাইরাস। ১১ ভাগ রোগীর মধ্যে পাওয়া গেছে ডেন-৩ ধরন।
এছাড়া গত বছরের ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের জিনোম সিকুয়েন্স করে দেখা গেছে, ৫০ ভাগ রোগীর মাঝেই বিপজ্জনক কসমোপলিটান ধরন উপস্থিত, যা রোগের তীব্রতা ও জটিলতা বাড়িয়ে দিতে পারে।  

গত দুই বছর ধরে চট্টগ্রামের ডেঙ্গু রোগীদের নিয়ে চলমান গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।
এসপেরিয়া হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে চলমান এই গবেষণায় নেতৃত্ব দিচ্ছে আইসিডিডিআরবি, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ। কসমোপলিটান ধরন এর কারণেই চট্টগ্রামে রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির হার বেড়ে যাওয়া ও মৃত্যুর হারের ঊর্ধ্বগতি হচ্ছে।  

গবেষণায় দেখা যায়, ২০২৩ সালে চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৬৯ ভাগ রোগীই ‘ডেন ২’ সেরোটাইপে আক্রান্ত ছিল, আর এই বছর ৮৮ ভাগ রোগী ‘ডেন ২’ তে আক্রান্ত। গত বছর চট্টগ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ ছিল পুরুষ, ডেঙ্গু রোগীদের প্রতি পাঁচজনে একজন ছিল শিশু। এছাড়াও চট্টগ্রামের বেশ কয়েকটি এলাকাকে হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।  

চট্টগ্রামের ৬০ শতাংশ ডেঙ্গু রোগীর আবাসস্থল পাঁচটি এলাকায়, যেগুলোকে গবেষকরা হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এলাকাগুলো হলো- বাকলিয়া, চকবাজার, কোতয়ালী, ডবলমুরিং এবং বায়েজিদ বোস্তামী। গ্রামাঞ্চলের মধ্যে সীতাকুণ্ড, হাটহাজারী, পটিয়া, বোয়ালখালী এবং কর্ণফুলী এলাকা থেকে সবচেয়ে বেশি রোগী পাওয়া গেছে।  

গত বছর ১৫০০ রোগীর ওপর পরিচালিত এই গবেষণায় ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন ও পেডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি বিভাগ, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, বিআইটিআইডি, আইসিডিডিআর,বি এবং নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিং, রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন ল্যাব। পুরো গবেষণার সমন্বয় ও তত্ত্বাবধানে ছিল স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান এসপেরিয়া হেলথ রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন।  

এ বছর ২০০ রোগীর তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করা হয়েছে এবং গবেষণা এখনও চলমান। চট্টগ্রামে পাওয়া কসমোপলিটান লিনিয়েজ বাংলাদেশে একেবারেই নতুন। দেশের অন্য সব অঞ্চল থেকে পাওয়া ইতিপূর্বের ধরনগুলো থেকে চট্টগ্রামে পাওয়া ধরনটি উল্লেখযোগ্যভাবে ভিন্ন। ফাইলোজেনেটিক বিন্যাস তথা তুলনামুলক বিশ্লেষণে পাওয়া যায়, এই ধরনগুলো মিয়ানমার ও ভারতে প্রবাহিত হচ্ছে।
BBS cable ad