অভ্যুত্থানে আহতদের পুনর্বাসন শুরু
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও বাংলাদেশ ফিজিক্যাল থেরাপি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) যৌথ উদ্যোগে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের জন্য ফিজিক্যাল থেরাপি ও পুনর্বাসন চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের পরিচালক সাইদুজ্জামান চৌধুরী অপু, বাংলাদেশ ফিজিক্যাল থেরাপি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. দলিলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ডা. ফরিদ উদ্দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ তানভীর রহমান, গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. আকরাম হোসেন, বাংলাদেশ ফিজিক্যাল থেরাপি অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ইশরাত জাহান, ল্যাবএইড হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. উম্মে সালমা, যুক্তরাজ্যের সেন্টার ফর সাইকোলজিক্যাল কনসালটেন্ট নাজমুল হোসাইন।
আন্দোলনে আহতদের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন সাইফউদ্দিন মো. ইমদাদ এবং নেসার উদ্দিন মোবারক।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আন্দোলনে গুরুতর আহত বেশ কিছু রোগীও উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ ফিজিক্যাল থেরাপি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) পক্ষ থেকে আহতদের চিকিৎসার জন্য গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে এক লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।
বিপিএ সভাপতি ডা. দলিলুর রহমান বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহিদের পরিবারের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। দুর্ভাগ্যজনকভাবে অভ্যুত্থানে আহত এবং শহিদের প্রকৃত সংখ্যা এখনো আমরা জানতে পারিনি। আহতদের চিকিৎসা এবং পুনর্বাসন যত দেরি হবে, পঙ্গুতের সংখ্যা ততই বাড়বে। তাই দ্রুত আহতদের পুনর্বাসন চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করা প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা এবং পুনর্বাসনের জন্য বাংলাদেশ ফিজিক্যাল থেরাপি অ্যাসোসিয়েশন এবং গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের সহযোগিতায় গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে আজ থেকেই রোগী ভর্তি করা হবে। গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ১৫টি শয্যা আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা এবং পুনর্বাসনের জন্য বরাদ্ধ রাখা হয়েছে। এখানে আহতরা চিকিৎসা এবং থেরাপি নিতে পারবেন।
সাইদুজ্জামান অপু বলেন, প্রথমেই ’২৪-এর বীরদের স্বাগত জানাই। জনস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জন্মই হয়েছিল মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য। আন্দোলন চলার সময় আহদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে এবং আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদকে গণস্বাস্থ্যে চিকিৎসা দেওয়ায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের চাপের সম্মুখীন হতে হয়েছে।
অনুষ্ঠানে অনান্য বক্তারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসার জন্য একটি ডেডিকেটেড হাসপাতাল বরাদ্দের প্রয়োজনীয়তার কথা জানান। যেখানে এক ছাদের নিচেই আন্দোলনে আহত রোগীরা নির্বিঘ্নে চিকিৎসাসেবা নিতে পারবেন।