নোয়াখালী মেডিকেল কলেজের শিক্ষক অপসারণের দাবিতে আন্দোলন, নেপথ্যে ছাত্রলীগ নেতা!
নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষসহ চার শিক্ষককে অপসারণের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে চালানো আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন ইমন মুৎসুদ্দি নামে এক ছাত্র। এ মেডিকেল কলেজের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ইমন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ও ছাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণের কারণে গত ৭ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের এ নেতাকে কলেজ থেকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল বলেও জানা গেছে।
পরে সেই বহিষ্কারাদেশ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে মিশে অধ্যক্ষসহ চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন তিনি।
জানা যায়, নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকায় এ ছাত্রলীগ নেতাকে তিনবার নোটিশ দিয়েছিল মেডিকেল কলেজ প্রশাসন। কিন্তু নোটিশের তোয়াক্কা না করায় ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করায় গত মাসে তাকে মেডিকেল কলেজ থেকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
ইমন তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করাতে কৌশলে অধ্যক্ষসহ চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে তাদেরই অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে নামেন। তার বিরুদ্ধে শিক্ষকদের সঙ্গে অশ্রাব্য ও অকথ্য ভাষায় কথা বলার অভিযোগ রয়েছে।
চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সহসম্পাদক পদে আছেন ইমন মুৎসুদ্দি। তার কথাবার্তা ও আচার-আচরণ খুব খারাপ। নিজের অপকর্ম ঢাকার জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের দিয়ে আন্দোলন করাচ্ছেন। আন্দোলনে প্রশাসন তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না করলেও তিনি আবার ‘কমপ্লিট শাটডাউনে’র নামে নতুন আন্দোলনের চেষ্টা করছেন।
অন্য এক শিক্ষার্থী বলেন, ইমন নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে সব ধরনের অপকৌশল অবলম্বন করছেন। এতে পাঠদানে ক্ষতি হচ্ছে। এ নতুন সরকারের আমলে কলেজ ক্যাম্পাসটাকে অশান্ত করে তোলার কারণেও তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক ডা. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ইমন সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে শান্ত ক্যাম্পাসটাকে অশান্ত করে তুলেছে। সে নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়ায় সে এখন প্রশাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে তার স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করছে।
সার্জারি বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ কামরুল হোসাইন বলেন, ইমন এ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ জাকির হোসাইনের বাবা-মায়ের নাম ধরে গালি দিয়েছে। একাডেমিক কাউন্সিলে তাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সে সবার সামনে গালি দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। এরপর ছাত্রলীগ নেতা ইমনকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে ইমন মুৎসুদ্দি বলেন, আমাদের আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই নানা কথা ছড়ানো হচ্ছে। আমি এক সময় ছাত্রলীগ করতাম। কিন্তু এখন তো করি না।
এদিকে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) থেকে নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের নাম পরিবর্তন করে আগের নাম নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা আগের সাইনবোর্ডটি নামিয়ে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ লেখা নতুন সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছেন।
মেডিকেল কলেজের শিক্ষক ও ছাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণের কারণে গত ৭ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের এ নেতাকে কলেজ থেকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল বলেও জানা গেছে।
পরে সেই বহিষ্কারাদেশ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে মিশে অধ্যক্ষসহ চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন তিনি।
জানা যায়, নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকায় এ ছাত্রলীগ নেতাকে তিনবার নোটিশ দিয়েছিল মেডিকেল কলেজ প্রশাসন। কিন্তু নোটিশের তোয়াক্কা না করায় ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করায় গত মাসে তাকে মেডিকেল কলেজ থেকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
ইমন তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করাতে কৌশলে অধ্যক্ষসহ চার শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে তাদেরই অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে নামেন। তার বিরুদ্ধে শিক্ষকদের সঙ্গে অশ্রাব্য ও অকথ্য ভাষায় কথা বলার অভিযোগ রয়েছে।
চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির সহসম্পাদক পদে আছেন ইমন মুৎসুদ্দি। তার কথাবার্তা ও আচার-আচরণ খুব খারাপ। নিজের অপকর্ম ঢাকার জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের দিয়ে আন্দোলন করাচ্ছেন। আন্দোলনে প্রশাসন তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না করলেও তিনি আবার ‘কমপ্লিট শাটডাউনে’র নামে নতুন আন্দোলনের চেষ্টা করছেন।
অন্য এক শিক্ষার্থী বলেন, ইমন নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে সব ধরনের অপকৌশল অবলম্বন করছেন। এতে পাঠদানে ক্ষতি হচ্ছে। এ নতুন সরকারের আমলে কলেজ ক্যাম্পাসটাকে অশান্ত করে তোলার কারণেও তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক ডা. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ইমন সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে শান্ত ক্যাম্পাসটাকে অশান্ত করে তুলেছে। সে নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। তার বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়ায় সে এখন প্রশাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে তার স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করছে।
সার্জারি বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ কামরুল হোসাইন বলেন, ইমন এ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ জাকির হোসাইনের বাবা-মায়ের নাম ধরে গালি দিয়েছে। একাডেমিক কাউন্সিলে তাকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সে সবার সামনে গালি দেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। এরপর ছাত্রলীগ নেতা ইমনকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে ইমন মুৎসুদ্দি বলেন, আমাদের আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই নানা কথা ছড়ানো হচ্ছে। আমি এক সময় ছাত্রলীগ করতাম। কিন্তু এখন তো করি না।
এদিকে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) থেকে নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের নাম পরিবর্তন করে আগের নাম নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা আগের সাইনবোর্ডটি নামিয়ে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ লেখা নতুন সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছেন।