শিরোনাম

Space for ads

সাতক্ষীরা মেডিকেলে ৩৫% চিকিৎসকের পদ শূন্য

 প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:১২ অপরাহ্ন   |   স্বাস্থ্যকর্মী

সাতক্ষীরা মেডিকেলে ৩৫% চিকিৎসকের পদ শূন্য
Space for ads

উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার মানুষের উন্নত স্বাস্থ্যসেবার জন্য ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ৫০০ শয্যার এ হাসপাতালে চিকিৎসকের পদ রয়েছে ১১৩টি। তবে দীর্ঘদিন ধরে কিডনি, ক্যান্সার, চর্মরোগ, মনোরোগ বিশেষজ্ঞসহ গুরুত্বপূর্ণ ৩৫ শতাংশ পদ শূন্য রয়েছে। এতে স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা। প্রতিদিন বহির্বিভাগে দূর-দূরান্ত থেকে আসা বিভিন্ন রোগী চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, চিকিৎসা যন্ত্রপাতির বরাদ্দও পাওয়া যাচ্ছে না। জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসক ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি বরাদ্দ চেয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তবে এখনো জনবল বা চিকিৎসা সরঞ্জাম পাওয়া যায়নি।

আইলাদুর্গত পদ্মপুকুর ইউনিয়নের কামালকাটি গ্রাম থেকে চর্মরোগের চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসেছিলেন মনজিলা বেগম ও তার মেয়ে আকলিমা খাতুন। নদীর লবণাক্ত পানিতে মাছ ধরার কাজ করায় তাদের শরীরে চর্মরোগ দেখা দেয়। স্থানীয় এক গ্রাম্য চিকিৎসকের পরামর্শে তারা এসেছেন। তবে হাসপাতালে চর্মরোগ বিষেশজ্ঞ না থাকায় তারা ফিরে যান।

মনজিলা বেগম জানান, তার স্বামী দিনমজুর, যা উপার্জন করেন, তা দিয়ে সংসার চলে না। বেসরকারি হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর সামর্থ্য নেই তাদের।

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাটিয়া গ্রামের হালিমা বেগম কোমরের চিকিৎসার জন্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন। অর্থোপেডিকস চিকিৎসক মাহমুদুল হাসান পলাশ তাকে দেখে অপারেশনের পরামর্শ দেন। কিন্তু হাসপাতালে কোমরের অপারেশন করা সিয়াম মেশিনটি দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট থাকায় ডাক্তার তাকে অন্য কোথাও অপারেশন করার পরামর্শ দেন।

হালিমা বেগম জানান, বেসরকারি হাসপাতালে কোমরের অপারেশন খরচ ৩ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা, যা তার পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব নয়।

সরকারি খরচে উন্নত স্বাস্থ্যসেবার জন্য মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালটি চালু হলেও কাঙ্ক্ষিত সেবা মিলছে না। চিকিৎসক সংকট থাকায় স্বল্প আয়ের রোগীরা পড়েছে বেশি বিপাকে। দ্রুত এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে মনে করেন রোগীর স্বজনরা।

এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘চিকিৎসকসহ নানা সংকটের কারণে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী চিকিৎসক বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না কেন? স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকার। কিন্তু বছরের পর বছর সংকট রয়েছে হাসপাতালে।’

এ ব্যাপারে হাসাপালের পরিচালক ডা. কুদরত-ই খোদা বণিক বার্তাকে বলেন, ‘কিডনি, ক্যান্সার, নিউরোসার্জারি, চর্মরোগ, মনোবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ, সহকারী সার্জনসহ ১০ পদে চিকিৎসক নেই। এছাড়া মেডিকেল অফিসার ১০ জনসহ ৪০টি গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসকের পদ শূন্য রয়েছে কয়েক বছর ধরে। প্রতিদিন সাতক্ষীরা জেলা ছাড়াও আশপাশের জেলা থেকে প্রচুর রোগী আসে হাসপাতালে। চিকিৎসক না থাকায় এসব রোগী বহির্বিভাগ থেকে ফিরে যাচ্ছে।’

BBS cable ad