Space for ads

স্টাফদের ৬০ লাখ টাকা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পকেটে

 প্রকাশ: ১৮ অগাস্ট ২০২৪, ০৩:৩১ অপরাহ্ন   |   কমিউনিটি হাসপাতাল

স্টাফদের ৬০ লাখ টাকা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পকেটে
Space for ads
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শরিফুল আবেদিন কমলের বিরুদ্ধে একটি খাত থেকেই ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, এনএইচপি (জাতীয় স্বাস্থ্য পোর্টাল) খাতে ২০০ জন স্টাফদের জন্য ৪২ হাজার টাকা করে এসেছিল। তিনি বিলও বানিয়েছেন প্রত্যেকের জন্য ৪২ হাজার টাকা করে। কিন্তু তিনি তার স্টাফদেরকে দিয়েছেন ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা করে। এখানে প্রায় ৬০ লাখ টাকার গরমিল রয়েছে, যা তিনি নিজে আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের টাকা বণ্টন করেননি তিনি। কারণ দর্শানো ছাড়া স্টাফদের বেতন-ভাতা বন্ধ করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পাশাপাশি কৃমিনাশক ক্যাম্পেইনের টাকাও আত্মসাৎ করার অভিযোগ করা হয় তার বিরুদ্ধে। শুধু এসব অভিযোগই শেষ নয়, তিনি নিয়মিত অফিস করেন না বলে জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা।

এ বিষয়ে ডা. মো. শরিফুল আবেদিন কমল বলেন, উপজেলায় ৩৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক ভিজিটের জন্য আমাকে বাইরেই থাকতে হয় বেশি। আমি অফিসে অনুপস্থিত থাকি এমন অভিযোগ সত্য নয়। আমার অফিসের শহীদুল নামের একজন স্বাস্থ্য সহকারী আছেন। তিনি ডিউটি করেন না, অন্য ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তিনি ছাত্রদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করতে পারেন।

এছাড়া অফিসের যেসব কর্মীরা অনিয়ম করেন তারা শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়েছেন দাবি করে এই কর্মকর্তা বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললে এবং স্টাফদের খোঁজখবর নিলেই সত্যতা বেরিয়ে আসবে। এছাড়া অন্য আর্থিক অভিযোগের কোনটাই সত্য নয় বলে দাবি এই কর্মকর্তার।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. আহম্মদ হোসেন বলেন, ছাত্ররা যেসব অভিযোগ করেছেন আমরা সেগুলো তাদের কাছ থেকে লিখিত নিয়েছি। সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অনিয়মিত উপস্থিতি ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এগুলো গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
BBS cable ad